হিসাববিজ্ঞান হলো এমন একটি বিষয় যেখানে হিসাব লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। হিসাববিজ্ঞান এ ৫ টি হিসাবে ভাগ করা হয়। যথা সম্পদ, ব্যয়, আয়, দায়, মূলধন।
হিসাব বিজ্ঞানের একটি সমীকরণ রয়েছে সমীকরণটি হলো A= L+OE.
A= Asset (সম্পদ)
L= Liability ( দায়)
OE= Owner's equity (মালিকানা স্বত্ব)
এবার প্রশ্ন আসতে পারে,
সম্পদ কাকে বলে?
সম্পদ হলো প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন কোন বস্তু যা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যৎ সুবিধা প্রদান করে।
দায় কাকে বলে?
কোনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন সম্পদের ওপর ওই প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের দাবির সমষ্টিকে দায় বলে। যেমন বিবিধ পাওনাদার, প্রদেয় বিল, বকেয়া ব্যয় ইত্যাদি।
মালিকানা স্বত্ব কি?
মালিক তার ব্যবসায়ী যে পরিমাণ অর্থ দাবী করতে পারবে সেই পরিমাণ অর্থ হল মালিকানা স্বত্ব।
অর্থাৎ মালিকানা স্বত্ব = মূলধন + নীট লাভ/ নিট ক্ষতি - উত্তোলন। আর মূলধন হল প্রারম্ভিক মূলধন ও অতিরিক্ত মূলধনের যোগফল। ব্যবসায় শুরুতে যে মূলধন আনা হয় সেটা প্রারম্ভিক মূলধন বলে।
আরেক দিক থেকে দেখতে গেলে, ব্যালেন্স শিট বা উদ্বৃতপত্র সমীকরণ নামে পরিচিত
উপরোক্ত সমীকরণ তথা সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব।
এই সমীকরণ টি কোম্পানির উদ্বৃত্তপত্রের তথ্যধারা সমর্থিত হওয়া উচিত। হিসাববিজ্ঞান সমীকরণ হল দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি।
কারণ সম্পদ যতটুকু হবে তার সমমান হবে দায় তথা তৃতীয় পক্ষ। যদিও আমরা বুঝি যে কোম্পানিতে কথা মালিক সে কথা তবে হিসাববিজ্ঞান কিন্তু এই কথাটা বলে না। হিসাববিজ্ঞান বলে কোম্পানি এক জিনিস আর মালিক আরেক জিনিস মালিক যত টাকা মূলধন দিয়েছে তার থেকে বেশি পরিমাণ সুদসহ উত্তোলন করবে তার মানে কোম্পানির কাছে মালিক বা মালিকানা স্বত্ব এক প্রকারের দায়।
এখানে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য দু'টি দল সৃষ্টি হয় একটাকে বলে অন্তর্দায় আরেকটা কে বলে বহির্দায়।
অন্তর্দায় যেটা সেটা হল মালিকানা স্বত্ব আর বহির্দায় যেটা সেটা হল তৃতীয় পক্ষ বা অন্য কোন জায়গা থেকে অন্য কোন কোম্পানি হতে অন্য কোনভাবে তৃতীয় পক্ষ হতে টাকা নিয়ে আসবে এতে প্রদেয় হিসাব সৃষ্টি হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন